This website uses cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more

10 Best place to visit in Ar Rahad Sudan

x

মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের বাড়ি | Michael Madhusudan Dutt | Travel Bangladesh with Amir Parvez

#Michael_Madhusudan_Dutt_Home #amirparvez #travelbangladeshwithamir parvez
Special Thanks to Dear Pavel Al Mamun
#মহাকবি_মাইকেল_মধুসূদনের_বাড়ি
আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি travel bangladesh with amir parvez এ। এই পর্বে আমরা যাচ্ছি যশোর জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে প্রকৃতি-ধন্য কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে। মায়া-ঘেরা এমন সুন্দর পরিবেশে জন্ম নিয়েছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। আপনাদের কৌতূহলী মনে একটি প্রশ্ন জাগতেই পারে কিভাবে আমরা এখানে এলাম? ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশপথে প্রথমে আসতে হবে যশোরে। এরপর যশোর বাস টার্মিনাল থেকে বাসে আসতে হবে কেশবপুর। ভাড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত রিক্সায় আসতে পারবেন সাগরদাঁড়ি। ভাড়া আনুমানিক ৭০ থেকে ১০০টাকা। তবে আমরা ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে যশোর এসে পৌঁছায়। যশোর বাস টার্মিনাল থেকে বাসে আসি কেশবপুর। আর কেশবপুর থেকে একটি বাইক ভাড়া কেরে যাচ্ছি দত্ত বাড়ী।

এই মূহুর্তে হৃদয় নিংড়ানো ধন্যবাদ দিতে চাই planet Aviationকে। যারা এই ভিডিওটির স্পন্সর করেছেন। ঘরে বসেই করুন বিমানের টিকেট। যেকোনো ধরনের DOMESTC ও INTERNATIONAL এয়ার টিকেটের জন্য এখনই ফোন করুন -01711-702355, 01917-752093. ফোন করে DESCRIPTION এর কোডটি (code-TBWAPPA 01) জানালেই পাচ্ছেন 6% ডিসকাউন্ট। এছাড়া planet Aviation এ আরও পাচ্ছেন টুরিস্ট ভিসা, ইন্টারন্যাশনাল হোটেল বুকিং, ওমরাহ প্যাকেজ, সৌদি'র ভিসা ওকালা স্ট্যাম্পিং ম্যান-পাওয়ার ও প্রসেসিং সেবা।

দত্তবাড়ী যাওয়ার পথে চেখে পড়লো শেখপুরা শাহী মসজিদ। মসজিদটির নির্মাণকাল আনুমানিক খ্রিষ্টীয় আঠারো শতক। মুঘল শাসনামলে যশোর অঞ্চলের অনেক স্থানেই মুঘল শাসকগণ বিভিন্ন স্থাপনা ও মসজিদ নির্মাণ করেন। শেখপুরা শাহী মসজিদটি মুঘল আমলেই নির্মিত বলে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ নিশ্চিত হয়েছেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে এই স্থাপনা তৈরি বলে মনে করা হয়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শেখপুরার এ মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে নথিভুক্ত করে। ছোটবেলায় মাইকেল মধুসূদন দত্তকে এ মসজিদে ফারসি ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মধু-কবি খুব তাড়াতাড়ি এই ভাষা শিখে নেন। সেই সঙ্গে গজলও শেখেন তিনি। পরে হিন্দু কলেজের বন্ধুদের তিনি গজল শোনাতেন।
কপোতাক্ষের পাড়ে এই কাঠবাদাম গাছ বুকে ধরে আছে মধু-কবির বাল্যে কালের সাহিত্য সাধনার অসংখ্য স্মৃতি। ১৮৩০ সালে বাড়ী ছেড়ে কলকাতার খিদিরপুর চলে যান কবি। ১৮৬২ সালে কলকাতায় থাকাকালীন সময়ে তার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে স্ত্রী-পুত্র, কন্যাকে নিয়ে নদীপথে আবার আসেন সাগরদাঁড়িতে। যখন তিনি সপরিবারে এখানে এসেছিলেন তখন ধর্ম পরিবর্তনের কারণে মধুসূদনকে তার পিতা গৃহে প্রবেশের অনুমতি দেননি । পরে তিনি কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী এক কাঠবাদাম গাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে ১৪ দিন অবস্থান করেছিলেন ।

আশাহত কবি, সাগরদাঁড়ি ছেড়ে এই ঘাট থেকে নিয়েছিলেন শেষ বিদায়।

আমরা এসে গেছি দত্ত বাড়ি। চলুন এক নজরে আমরা দেশি ও বিদেশি দর্শনার্থীদের প্রবেশমূল্য জেনে নিই। এখানেই জন্ম মধু কবির। আর এখানেই বেড়ে ওঠা। ঐতিহাসিক এই বাড়ির কথা দেশের মানুষ তো জানেই, জানে ভিন দেশিরাও। ইতিহাসখ্যাত এই দত্তবাড়ী, কবির নানা স্মৃতি চিহ্ন বুকে নিয়ে এখন দেশের আকর্ষণীয় এক পর্যটন কেন্দ্র। কবি নিশ্চয় এই পুকুর ঘাটে বসে শৈশবের নানাদিন কাটিয়েছেন। কবির বাবা আইনজীবী রাজ নারায়ণ দত্ত। আর মা জমিদার কন্যা মা জাহ্নবী জান্নুবী দেবী।

কবির পরিবার এই চমৎকার কারুকাজের কাঠের সিন্দুকটি ব্যবহার করতেন। কবির ব্যবহৃত কাঠের খাট, কাঠের পড়ার টেবিল আর আলনা। মধু-কবির ব্যবহার করা এই জিনিস এখন ইতিহাসের অমূল্য স্মারক বস্তু। এ জায়গাতে সদ্য ভূমিষ্ঠ মধুসূদন পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন ১৮২ বছর আগে ১৮২৪ সালের এক শীতের সকালে। দত্ত পরিবারের পূর্বপুরুষদের আদি-নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া বালিতে। মধুসূদনের পিতামহ রামনিধি দত্ত যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে স্থানান্তরিত হয়ে জমিদারি ক্রয় করে দেবালয় স্থাপন করেন।

আপনারা এখন যে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি একজন গুণী অনন্যা। এই ভিডিওর চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আমি এখন এগিয়ে যাচ্ছি দত্ত-বাড়ির মন্দিরের দিকে। এই মন্দিরে পূজা করতেন দত্ত-বাড়ির লোকজন।

দত্ত-বাড়ির এসব দেয়ালে দেয়ালে জড়িয়ে আছে মধু-কবির কতশত স্মৃতি। এই ভবনটি ছিল কবির পিতার কাছারী ভবন। চলুন এবার আপনাদের নিয়ে যায় কবির কাকুর বাড়ির দিকে।

উত্থান পতনে ভরা জীবন আর অনন্য সাধারণ কাব্য প্রতিভায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের এক বর্ণাঢ্য কবি পুরুষ। কালজয়ী এই কীর্তিমানের অক্ষয় ঠাঁই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে, সাগরদাঁড়ির মাঠিতে আর মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

এই ছিল মধু কবির জন্মস্থানের আদ্যোপান্ত। আবার দেখা হবে travel bangladesh with amir parvez এর আগামী পর্বে, চমৎকার কোন লোকেশনে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, চারপাশটাকে ভালো রাখবেন আর হ্যাঁ অবশ্যই দেশকে ভালো বাসবেন। আসসালামু আলাইকুম।

IKE | COMMENT | SHARE | SUBSCRIBE
▬▬▬AMIR CHOWDHURY▬▬▬
Thanks For Watching
SUBSCRIBE :

Follow Me on Social Media:
Facebook :
Twitter :
Instagram :
Dailymotion :
Flickr :
Vimeo :

ANTI-PIRACY WARNING : This content's Copyright is reserved for Amir Chowdhury . The unauthorized reproduction, re-upload to social media is strictly prohibited of this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the material.

© Copyright Amir Parvez 2021

@AmirChowdhury
x

Shares

x

Check Also

x

Menu